মজার ইলিশ, হরেক পদ -১
ইলিশ মাছের দাম আর এর প্রাপ্যতা নিয়ে ভাই আমাকে কোন প্রশ্ন করবেন না। আমার ঘরে এটি খুবই পছন্দের মাছ, নানাভাবে তাই রান্না হয়। আলু এবং ইলিশ ছোট কিউব করে কেটে ঝোল রান্না তার মধ্যে একটি।
নানান পদের রান্নায় এই ইলিশ মাছের স্বাদতো বাঙ্গালীর রান্নাঘরে ঘুরে ফিরে আসে, অসাধারণ তার আবেদন। আমাদের অর্থনীতিতেও এই ইলিশের অবদান কম নয়, ঝাটকা না ধরে ছোট মাছগুলোকে ইলিশ হতে দিলে এই অবদানের পরিমান আরো অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
আজকের রেসিপিটি – আলু-ইলিশের ঝোল, কিউব করা আলু আর একই রকম সাইজের ইলিশ মাছের টুকরা একত্রে ঝোল ঝোল করে রান্না করা।
উপকরণঃ
- ইলিশ মাছ – ছোট এক বাটি, ১/২ ইঞ্চি কিউব করে কাটা
- ইলিশ মাছের ডিম – ১/২ বাটি (২ ভাগ) পরিমাণ, মাছের মতই ১/২ ইঞ্চি কিউব করে কাটা
(পেটের এবং পিঠের মাছ হলে ভাল হয়, এতে রান্নার পরও মাছ ভেঙ্গে যাবে না) - আলু – ২ টা মাঝারী, আধা ইঞ্চি কিউব করে কাটা
- পেয়াজ কুচি – ২ টা মাঝারী
- কাচা মরিচ – ৪ টা (ঝাল বেশি চাইলে আরো একটা বেশি দিতে পারেন)
- মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- আদা বাটা – ১/২ চা চামচ
- রসুন বাটা – ১ চা চামচ
- জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- লবন – পরিমাণমতো
- তেল – ২ টেবিল চামচ
- চিনি – ১ চিমটি (ঘরে ডায়াবেটিস রোগি থাকলে দেবেন না)
- ধনে পাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
- পানি – ২/৩ কাপ
প্রস্তুত প্রণালীঃ
হাঁড়িতে তেল দিয়ে একটু গরম হলে পেয়াজ কুচি ছেড়ে দিন। হালকা বাদামী রঙ ধারণ করলে চুলার আঁচ কমিয়ে পরিমাণমতো লবণ দিন, আদা-রসুন, হলুদ-মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া দিয়ে নাড়ুন। সব মশলা ২/৩ মিনিট কষান। এ সময়ে চুলার আঁচ কমানো থাকবে।
মশলা কষানো হলে মাছ ছেড়ে দিয়ে ৫ মিনিট নেড়ে-নেড়ে মাছ কষান। কষানো হলে ২/৩ কাপ পানি দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিন। ৪/৫ মিনিট পর পানি ফুটতে শুরু করলে আলু দিয়ে দিন। ঢেকে রাখুন। এ সমেয় ঢাকনা তুলে মাঝে মাঝে হালকা ভাবে নেড়ে দিন যেন মাছ ভেঙ্গে না যায়। ২/৩ মিনিটে মাথায় চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না হতে দিন।
আলু সিদ্ধ হয়ে এলে কাঁচা মরিচ এবং চিনি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্ন করুন। ঝোল কমে খানিকটা মাখা-মাখা হলে নামিয়ে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন।
পরিবেশনের জন্য তৈরী। গরম ভাতের সাথে খুবই ভাল লাগবে।
ভূলু, চট্টগ্রাম, ১২/১০/২০০৭ (২৯ রমজান)
আরো দেখুনঃ
৩. ‘ইলিশ ভাজা’ খেতে মজা গরম গরম হলে
happy wheels