সেমাই, বাংলাদেশের ঈদে এটি এমন একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ যে সেমাই নিয়ে আলাদা করে তেমন কিছুই বলার থাকেনা। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরে আমাদের ঘরে ঘরে সেমাই থাকবেই। এজন্যেই হয়ত ঈদুল-ফিতর সেমাই ঈদ নামেও পরিচিত। তবে ইদানীং ঈদের খাবারের লিস্টে সেমাই খুব একটা আদর নাপেয়ে লিস্টের নীচের দিকে নেমে গেছে। আবার অন্য চিত্রও দেখা যায়, এখন অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন রেসিপিতে সেমাই করে থাকেন – প্রশংসনীয় ব্যাপারটা। ঈদের দিন আমার ঘরে অনেক বছর ধরেই এই সেমাই জর্দা তৈরী করি, আমার ছেলে-মেয়েরা পছন্দ করে তাই। ঈদের দিন সকাল বেলায়ই বাড়ির পুরুষরা নামাজ থেকে ফিরে আমার হাতে করা সেমাই জর্দা খায় কিছু ঝাল খাবারের সাথে। আজ আপনাদের জন্য রেসিপিটি দিলাম, কেউ রান্না করলে জানাবেন কেমন লেগেছে। এই রেসিপিটি কারো কাছে সেমাই পোলাও কিংবা পোলাও সেমাই নামেও পরিচিত।
উপকরণঃ
কুলসন সেমাই – ১ প্যাকেট
(কুলসন সেমাই না পেলে, যেকোন দেশি সেমাই, যাকে অনেকে বাংলা সেমাই বলে থাকেন, একটু লালচে রং-এর খোলা সেমাইটাই আসলে বাংলা সেমাই নামে পরিচিত)
- চিনি – ২ কাপ
- নারকেল কুরানো – ১ কাপ
- কিশমিশ – ২ টেবিল চামচ
- চীনা বাদাম (ভাজা) – ৩ টেবিল চামচ
- দারুচিনি – ৩ টুকরা
- তেজপাতা – ২ টা
- ঘি – ৪ টেবিল চামচ
- পানি – ২ কাপ
- লবন – পরিমাণমতো
প্রস্তুত প্রণালীঃ
চুলাতে কড়াই চাপিয়ে আগুনের আচেঁ কড়াইয়ের ভেতরটা শুকাতে দিন। এবার গরম কড়াইতে ঘি দিয়ে দিন। ঘি সামান্য গরম হলে চিনি দিন । এবার ১ প্যাকেট সেমাইয়ের অর্ধেকটা এই গরম ঘিয়ে ঢেলে দিয়ে ১০/১৫ মিনিট নাড়ুন, সেমাইটা ঘিয়ে ভাজা হবে।
টিপসঃ
সেমাইটা সরাসরি ঘিয়ে না দিয়ে একটু প্রসেস করে নিতে পারেন, এতে সেমাইটা নরম হবে। কি করতে হবে বলছি – আলাদা পাত্রে পানি গরম করে তাতে সেমাইটা মিনিট পাচেক সিদ্ধ হতে দিন, এবার একটা ঝাঁঝরিতে গরম পানি সহ সিদ্ধ সেমাইটা ঢেলে দিন, পানি ঝরে যাবে। এবার সাথে সাথেই সিদ্ধে গরম সেমাইটার উপর ঠান্ডা পানির ধারা দিন, তাতে সেমাইটা ঝর-ঝরে হয়ে যাবে আর ঠান্ডা হবে। এ অবস্থায় সেমাইটা পাতিলে গরম ঘিয়ে ঢেলে দিন। এখান থেকে রেসিপি’র বাকী অংশ অনুসরণ করুন।