রূপচাঁদা মাছের স্বাদ এবং রূপের প্রশংসায় না করে পারা যায় না- এ ব্যাপারে আপনারাও আমার সাথে একমত হবেন। সামুদ্রিক এই মাছটি কম-বেশি সবারই প্রিয়। আর তাই হয়ত সমুদ্র শহর কক্সবাজারে গেলে সবাই চায় একবেলা রুপচাঁদা মাছের কোন রেসিপি’র স্বাদ নিতে। ফেরার পথে সাথে করে মাছ আনতে না পারলেও শুঁটকিতো আনাই যায়। আর আমরা যারা চট্টগ্রামে থাকি তারা সারা বছর রুপচাঁদা মাছ না পেলেও শুঁটকিটা হাতের নাগালেই পাই। তাই আজকের এই রেসিপি – রূপচাঁদা শুটকিতে টমেটো।ও! একটু সাবধানে থাকতে হবে, রুপচাঁদার নামে কোথাও নাকি পিরানহার চাষ এবং বাজারজাত হচ্ছে। দেখতে নাকি রুপচাঁদার মতই এই মাছটি। দেখেশুনে রুপচাঁদা কিনবেন। চট্টগ্রামের বাজারেই অন্তত ৪ রকমের রূপচাঁদা মাছ দেখতে পাওয়া যায়।
উপকরণঃ
- রূপচাঁদা শুঁটকি – ১০০ গ্রাম
- টমেটো (কিউব করে কাটা) – ৪টি (মাঝারী)
- রসুন বাটা – ১ টে চামচ
- আদা বাটা – ১ চা চামচ
- জিরা বাটা – দেড় চা চামচ
- ধনে গুড়া – ১ চা চামচ
- হলুদ গুড়া – ১/২ চা চামচ
- মরিচ বাটা – ১ টেবিল চামচ
- পেয়াজ কুচি – ১ কাপ
- কাঁচামরিচ (ফালি করে কাটা) – ৪/৫ টা
- তেল – দেড় কাপ
- পানি – দেড় কাপ
- লবণ – পরিমাণমতো
- ধনেপাতা কুচি – ৩ টে চামচ
- চিনি – ১ চিমটা
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে শুঁটকি এক ইঞ্চি সাইজের টুকরা করে নিতে হবে। এবার ভাল করে ধুয়ে ২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন কাটা শুঁটকিগুলো। দুই ঘন্টা পরে ভেজানো শুঁটকি গুলো পানি থেকে তুলে পানি ঝরিয়ে নিন, আর মূল রান্নার জন্য তৈরী হোন –
কড়াইতে তেল দিন, তেল গরম হলে তাতে পেয়াজ কুচি দিন, ভাজতে থাকুন। হালকা বাদামী রঙ ধারণ করলে উপকরণের সব মশলা দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে নিন। এসময় চুলার আঁচ কমিয়ে রাখুন, নইলে মশলা পুড়ে যাবে। এবার কষানো মসলায় শুঁটকি দিয়ে দিন, এ অবস্থায় আরও ১০ মিনিট রান্না করুন। চুলার আঁচ একটু বাড়াতে পারেন। এবার ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। কিছুক্ষন পর টমেটো ও কাঁচামরিচ ছেড়ে দিন। চুলার আঁচ কমিয়ে একটু নেড়ে দিন, আবার ঢেকে দিন। এ অবস্থায় আরো কিছুক্ষণ রান্না করুন। মাখামাখা হয়ে আসলে ধনেপাতা ও চিনি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন। গরম ভাতের সাথে পরিবেশনে খুবই ভাল লাগবে। কেউ ঝাল পছন্দ করে শুঁটকিতে, ঝাল বাড়িয়ে দিতে পারেন আপনার পছন্দ মত।
ভূলু, চট্টগ্রাম, ১৪/১২/২০০৮
happy wheels