বেশি বেশি করে ইবাদত করার পাশাপাশি, এই পবিত্র রমজানে আপনি প্রতিদিন কি খাচ্ছেন এ ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকবেন। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারিতে ভাজা-পোড়া কিংবা তেলের খাবার বেশি বেশি খেয়ে স্বাস্থ্যের বারোটা বাজাবেন না। আমাদের বহুদিনের অভ্যাস আর ট্রাডিশনের কারণে আমরা ইফতারে ভাজা এবং তেলে তৈরি খাবার পছন্দ করি। সারাদিন না খাওয়া শরীরে এইসব ভাজা-পোড়া খাবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তাই ইফতারিতে পরিমিত খাবেন এইসব খাবার। ইফতারিতে ফল এবং শরবত-পানীয় জাতীয় খাবার রাখবেন প্রতিদিনের তালিকায়। পরিমিত খাবেন, বিশেষ করে সেহেরীতে। আর সেহরীতে আপনার স্বাভাবিক খাদ্যতালিকায় যা থাকে তাই রাখবেন, বাড়তি তেল মশলাযুক্ত খাবার একেবারেই রাখবেন না। মাংশ বাদ দিয়ে মাছের আইটেম রাখতে পারেন সেহরীতে, সবজি আরে সালাদের ভাগটা যেন মাছ-মাংসের তুলনায় যেন বেশি থাকে।
আমার রেসিপিগুলোর মধ্য থেকে কুচো আদায় মুরগী, বেগুন চাটনি, পটল পাতুরী – এই সবজির আইটেমগুলো রান্না করতে পারেন। যাদের ঘরে ডায়াবেটিসের রুগী আছে তারা হয়ত সেহরীতে আলু-করলা ভাজি, তেলে ভাজা করলা রেসিপিগুলোও রাখতে পারেন। আপনার পছন্দের মাছের অন্য রান্নাগুলোর সাথে আমার ব্লগের রুই মাছের ঝোল, আলু-ইলিশের ঝোল, মৃগেল মাছের দোপেয়াজা, লইট্ট্যা মাছের দোপেয়াজা, মলামাছে নারিকেলের দোপেয়াজা হতে পারে আপনার প্রতি রাতের সেহরীর আইটেম। সেহরীতে সব সময়েই হালকা, অর্থাৎ সহজ পাচ্য খাবার গুলোই খাবেন এতে হজমে অসুবিধা হবে না কিংবা পেটে গ্যাসের মত ঝামেলায় পড়তে হবে না।
এর সাথে ঘন ডাল থাকতে পারে প্রতি সেহরীতে। মাংসের রেসিপিগুলো পাবেন এই লিঙ্কে, তবে মাংস সেহরীতে না থাকাই ভাল। সালাদ যেন থাকে প্রতি সেহরীতে, মাংস বাদ দিয়ে সালাদের পরিমান বাড়িয়ে দেবেন। আমার সালাদের রেসিপির লিস্টটা খুব বড় নাহলেও আপনার ভাল লাগবে এই সালাদের আইটেম গুলো – মিক্সড ভেজিটেবল সালাদ, মিক্সড আপেল সালাদ, মিক্সড সালাদ, সবজি সালাদ, ফলের সালাদ, চিংড়ী সালাদ, চিংড়ী-আপেল সালাদ এবং মুরগী-গরু-সবজি সালাদ, থাকতে পারেন টমেটোর চাটনি।
এ’তো জাননেল আমার পছন্দের এবং পরামর্শের কথা প্রতি রোজার ইফতারী এবং সেহরীর খাবার নিয়ে। এবার আপনাদের কথা বলুন – আপনারা কি কি পছন্দ করেন প্রতিদিনের ইফতার এবং সেহরীরতে? স্পেশাল কিছু হলে তার রেসিপি আমাদের সবার সাথে শেয়ার করতে পারেন।