আপনাদের কারো যদি ধারণা থাকে পেয়াজু, ছোলা, মুড়ি আর বেগুনী ছাড়া ইফতার হবেনা, তাদের বলব এ ধারণা ঠিক নয়। সারাদিন রোজা রেখে খালি পেটে এইসব ভাজা-পোড়া খাবার বরং ক্ষতিকরই। ভাজা পোড়া বেশি খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা, কোষ্ট্যকাঠিন্য, মাথাব্যাথাসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। আর এইসব যদি হয় বাহিরের খাবার তাহলেতো কথাই নেই। তাই এমন খাবার বর্জন করাই ভাল।
তবুও এই আইটেমগুলো যেহেতু আমাদের ইফতারিতে অনেকদিন ধরেই জনপ্রিয় খাবার তাই রেসিপিগুলো করেছি আপনাদের জন্য। তবে অবশ্যই রোজায় ভাজা-পোড়া খাবার কম খেয়ে সুস্থতার প্রতি নজর দেবেন। আমার সাথে রেসিপিটি করেছে আমার মেয়ে।
উপকরণঃ
খেশারী ডাল – ২ কাপ
পেয়াজ কুচি – ১ কাপ
আদা কুচি – দেড় চা চামচ
ধনে গুঁড়া – ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
কাচামরিচ কুচি – ৩ চা চামচ
লবণ – পরিমানমতো
ধনেপাতা কুচি – ২ চা চামচ
তেল – ভাজার জন্য
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ডাল ৬-৭ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ইফতারিতে পেয়াজু করার জন্য আমি সাধারনত সকালে ডাল ভিজিয়ে রাখি।
এবার ৬-৭ ঘন্টা পরে পেয়াজু বানানোর প্রস্তুতি হিসেবে ডাল ভালকরে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে বেটে নিন। ডাল খুব মিহি করে না বাটলেও চলবে। এরপর বাটা ডালে উপরের সব উপকরণ ভালকরে মেখে নিন। এবার এই মিশ্রণ থেকে হাতে গোল-চ্যাপ্টা বড়া তৈরি করুন। এই বড়া ডুবো তেলে বাদামী করে ভেজে তুলুন। বড়াগুলো তৈরি করেই গরম তেলে ছেড়ে দিতে পারেন। পেয়াজু গরম-গরম কুড়-মুড়ে হলেই ভাল লাগে।
এই রেসিপিতে কারো পেয়াজু করতে অসুবিধা হলে জানাবেন। কেউ চাইলে পেয়াজের পরিমান বাড়িয়ে দিতে পারেন।
রুমি, চট্টগ্রাম, ১৫-০৮-২০১০পরবর্তী রেসিপিঃ ইফতারির আরেক জনপ্রিয় আইটেম “বেগুনী”
happy wheels