মোরগ মোসাল্লাম স্পেশাল ঈদ রেসিপি

মোরগ মোসাল্লাম, আমার ঘরে এবার স্পেশাল ঈদ রেসিপি এটি। অনেক আগে মোরগ মোসাল্লাম রেসিপি আপনাদের জন্য, ওভেনে করতে হত। আজকের রেসিপিটি একেবারেই নিজের মত করে করা, সহজেই করা যাবে, ওভেনের দরকার নেই, ঘরে সাধারন হাড়িতেই করা যাবে। উপকরণের পরিমান, তেল এবং মশলার ব্যবহারও কম করার চেষ্টা করেছি।

মোরগ মোসাল্লাম  রেসিপি

ছবিঃ মোরগ মোসাল্লাম রেসিপি

এই রেসিপিটির বিশেষত্ব হচ্ছে দৈনিক দিনের শেষে পত্রিকা তাদের ২০১০ সালের ঈদ স্পেশাল সংখ্যায় (প্রকাশিতঃ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১০) রান্না বিশেষজ্ঞের রেসিপি হিসেবে মোরগ মোসাল্লামের এই রেসিপিটি ছেপেছে। এ জন্যে দিনের শেষে পত্রিকার রশিদা আফরোজ এবং সামহ্যোয়ারইনের ব্লগার চট্টগ্রামের নুশেরা তাজরিনকে অনেক ধন্যবাদ।

দৈনিক দিনের শেষে ঈদ স্পেশাল সংখ্যা (লিঙ্কটি শুধু ইন্টেরনেট এক্সপ্লোরারে খুলবে)

উপকরণঃ

  • আস্ত মোরগ – ১ টি (১ কেজি)
  • পেয়াজ কুচি – ২ টেবিল চামচ
  • পেয়াজ বাটা – ১ কাপ
  • মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
  • ধনে গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
  • জিরা বাটা – ১ চা চামচ
  • টকদই – ২ টেবিল চামচ
  • গরম মশলা বাটা – ১/২ চা চামচ
  • তেজপাতা – ২ টি
  • দারুচিনি – ৩ টুকরা (২ ইঞ্চি সাইজের)
  • এলাচ – ৩ টি
  • চিনি – ১/২ চা চামচ
  • জায়ফল জয়ত্রি গুঁড়া/বাটা- ১/৩ চা চামচ
  • সয়াসস – ১ চা চামচ
  • টমেটো সস – ১ টেবিল চামচ
  • লেবুর রস – ১ চা চামচ
  • তেল – ১ কাপ
  • পানি – ৪ কাপ
  • ঘি – ২ টেবিল চামচ
  • কাচামরিচ ৩-৪ টি (ফালি করা)
  • লবন – স্বাদমতো

প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমে আস্ত মোরগটি চামড়া ছাড়িয়ে ভেতরটা পরিষ্কার করে ডানার অর্ধেকটা, পা ও মাথা কেটে নিতে হবে। এবার মোরগের সাথে লবন, হলুদ, আদা, রসুন মেখে ১/২ ঘন্টা রেখে দিন। এরপর কড়াইতে তেল গরম করে অল্প আঁচে মোরগটি ভেজে তুলুন। এখন একই কড়াইতে গরম তেলে ঘি দিয়ে গরম হলে পেয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। পেয়াজ বাদামী রঙ ধারণ করলে চুলার আঁচ কমানো অবস্থায় টক দই, চিনি, লেবুর রস, ও সয়াসস বাদে একে এক বাকী সব মশলা দিয়ে কষান। ভাল করে কষানো হলে ভেজে রাখা মোরগটি দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে গরম পানি দিন। পাতিলে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। মাঝে মাঝে ঢাকনা ঊঠিয়ে মোরগটি নেড়ে উল্টে দিতে হবে। মোসাল্লামের ঝোল কমে মাংস সিদ্ধ হয়ে মাখা মাখা হয়ে এলে টকদই, চিনি, লেবুর রস, সয়াসস, টমেট সস ও কাচামরিচ দিয়ে আরো ১০ মিনিট অল্প আঁচে ঢেকে রান্না করুন। ১০ মিনিট পরে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
আপনার পছন্দমত পেস্তা বাদাম কুচি, টমেটো ও শশার টুকরো, পেয়াজ গোল করে কেটে, ধনেপাতা সহ সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

ভূলু, চট্টগ্রাম, ০২/০৯/২০১০

happy wheels

About ভূলু | ভূলু'স রেসিপি

আমি 'ফজলুর নূর ভূলু'। আমার রান্নাঘরের অরিজিনাল সব রেসিপি নিয়েই আমার এই ব্লগ - "ভূলু'স রেসিপি"। এই রেসিপি ব্লগের মাধ্যমে আমি দেশি খাবার আর তার অতুলনীয় স্বাদের বৈচিত্র তুলে ধরতে চাই। সাথে আমাদের আঞ্চলিক এবং ঐতিহ্যবাহী রান্নাগুলোও থাকবে। ভবিষ্যতে এইসব রেসিপি আর ব্লগের গল্পগাঁথা নিয়ে একটি বই প্রকাশের ইচ্ছে আছে।

৮ thoughts on “মোরগ মোসাল্লাম স্পেশাল ঈদ রেসিপি

  1. রশিদা আফরোজ

    ধন্যবাদ অপনাকে এই রেসিপিটি সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্য। আমার কর্তা এই আইটেমটি করেন একটু অন্যভাবে। আপনার মতো করে একদিন করবো। ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
    পুনশ্চ : নুশেরা বর্তমানে “আমরা বন্ধু” বøগের বøগার।

  2. ভূলু (ভূলু'স রেসিপি)

    আমি চেষ্টা করি রেসিপিগুলো সহজ করে দেয়ার জন্য, তাতে স্বাদ তেমন বদলায়না, আমার তাই মনে হয়। তবে যেকোন রেসিপিই বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে, মশলা এবং অন্যান্য উপকরণ কম-বেশি হলেও চলে। তবে বেসিক দিকটা ঠিক রাখতে হয়।

    আপনি যদি আপনার কর্তার রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেন, তাহলে পাঠকরা মোরগ মোসাল্লামের আরেকটি রেসিপি পেত। কি করবেন নিশ্চয়ই।

    নুশেরাকে আমার অনেক শুভেচ্ছা দেবেন। নুশেরার কেক কাহন লেখাটা নাকি খুবই ভাল হয়েছে, আমার ছেলে প্রিন্ট নিয়ে আসবে, পড়ে দেখব।

  3. Mahbub

    এবারের ঈদে আপনার রেসিপি অনুসারে একটি ডিশ রাঁধবো। আমি মুরগীর মাংস রাঁধার অবিরাম চেস্টা চালানোর ইচ্ছা রাখি। এ মুহুর্তে আপনার ব্লগ আঁতি পাঁতি করে খুঁজছি।

  4. sanjida

    aunty, apnar blogt ajkei prothom dekhlam……khub valo lagche erkm 1ta blog peye….ami nijeo ctg'r meye….:-) kintu ranna banna ekdomi parina…..desher baire esei rannar hate khori amaar….r ami sob somoi measurement spoon r cup use kori…..kintu ei measured spoon gular sathe abar normal spoon gular map mile na…normal chamoch.e poriman onek beshi hoi…..tai jante chachi, apnar recipeta j maap deya ache, seta ki normal spoon na measured spoon diye koreche??….plzz janaben ki?? valo thakben…..:-)

  5. ভূলু (ভূলু'স রেসিপি)

    সানজিদা, অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা প্রশ্নের জন্য। আমি ব্লগের জন্য রেসিপিগুলো চেষ্টা করেছি বাজারের মেজারিং চামচ এবং কাপগুলো ফলো করতে। কখনো হয়ত হুবুহু তা ফলো করা হয়না। তবে তুমি চাইলে ঘরের সাধারন চামচেও মেপে নিতে পার, যেমন ১ চামচ = প্রায় ৫ গ্রাম। এই তুলনাটা জানা থাকলে সহজ হবে।

    তবে আমি নিজে রান্নার সময় এত মাপামাপির ধার ধারিনা। চোখের আর হাতের আন্দাজেই সব উপকরনের মাপ ঠিক করি। তুমিও পারবে চেষ্টা করলে, ব্যাপারটা সহজ। তোমাকে চেষ্টা করতে হবে কোন উপকরনটা কেন দিচ্ছ, যে পরিমানটা দিতে বলা হয়েছে তা কেন দিতে বলা হয়েছে, ওই পরিমানটাইবা কেন বলা হয়েছে? যেমন লবন কিছু কম হলে ক্ষতি নেই, তবে বেশি হলে সে রান্না কোনভাবেই খাওয়া যাবেনা। আবার রান্নার সময়েই যদি ধরা পড়ে লবন বেশি তাহলে তার ধার কাটানোর ব্যাবস্থা আছে।

    তাই রান্না করতে গেলে পরিমানটা একটু বুঝে শুনে দিলেই হল। কম-বেশি হতেই পারে, তেমন সমস্যা নেই। ঘরের চামচ আর মেজারিং চামচ তুলনা করতে হলে, তার আন্দাজটুকু জানা থাকলেই হল। আর অভিজ্ঞতা তোমাকে পারফেক্ট আন্দাজটা ঠিক করে দেবে।

    তুমিও ভাল থাকবে।
    ধন্যবাদ।

  6. Pingback: Homepage

Comments are closed.