বাজারে যখন প্রচুর জলপাই আসতে শুরু করে, তখনই উপযুক্ত সময় জলপাইয়ের আচার করার। অনেক আগে একটা পোস্টে জলপাইয়ের মিষ্টি আচারের রেসিপিটি দিয়েছিলাম। জলপাইয়ের আচারের এই রেসিপিটি আগেই করা ছিল, এই ব্লগে দেয়া হয়নি।
এই আচারটি মশলা এবং ঝালে মেশানো মজার একটি আচার। জলপাইটা এখানে গোটা গোটা থাকবে। আচারটি রোদে শুকিয়ে অনেক দিন রাখা যাবে।
উপকরণঃ
- জলপাই – ১ কেজি (জলপাইগুলো একই আকারের হলে আচার দেখতে ভাল লাগে)
- সরিষার তেল – ২৫০ মিলি
- কাঁচা মরিচ – ১৫০ গ্রাম
- রসুন – ১৫০ গ্রাম
- আদা – ১৫০ গ্রাম
- হলুদ গুঁড়া – ১ টেবিল চামচ
- সরিষা দানা – ১৫০ গ্রাম
- ভিনেগার – ১ বোতল
- লবন – ২ টেবিল চামচ
- পাঁচফোড়ন – ২ টেবিল চামচ
- মৌরি – ২ টেবিল চামচ
- কাল জিরা – ২ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ
জলপাই, কাঁচা মরিচ, রসুন, আদা ও সরিষা ভাল করে ধুয়ে পানি শুকিয়ে নিন। জলপাইয়ের চারপাশে চির কেটে লবন ও হলুদ মেখে পুরো দিন কড়া রোদে রাখতে হবে।
গ্রাইন্ডারে আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচ ভিনেগার ঢেলে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার সরিষা ও ভিনেগার দিয়ে মিহি করে শীল-পাটায় বেটে নিন। কাল জিরা, মৌরি ও পাঁচাফোড়ন পাটায় আধা গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবার একটি বড় কাঁচের বোতলে সব মশলা, সরিষা বাটা ও লবন দিয়ে ভাল করে ঝাকিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে জলপাই ও তেল দিয়ে বোতলের মুখ আটকে দিন।
পর পর মাসখানেক প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা করে আচারের বোতলটি রোদে দেবার পরে খাওয়ার উপযোগী হবে। এই আচার পোলাও ও খিচুড়ি’র সাথে খেতে দারুণ মজা। মাঝে মাঝে রোদে দিলে প্রায় ১ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে এই আচার।
ভূলু, চট্টগ্রাম, ১৮/১১/২০০৭
happy wheels
আমি একেবারেই আচার বানাতে পারি না। অথচ, মা এত ভালো আচার বানান! এখনো অবশ্য মা আর বড় বোন ই সাপ্লাই দেন আমাকে। তবে এটা আমি বানাব ভাবছি……।।দেখি কি দাঁড়ায়!
ভাল লাগলো আপনি নিজেই আচার বানানোর চেষ্টা করবেন শুনে। আগ্রহ করে চেষ্টা করলে অবশ্যই বানাতে পারবেন। দেখেন হয়ত আপনি আরো ভাল আচার বানাতে পারছেন।
ভাল থাকবেন।