শীতের সকালে নাস্তায় কিংবা দুপুরের খাবারে তাজা (এই মাত্র তৈরি করা) গরম গরম বাঁধাকপি ভাজি খুবই ভাল লাগে আমার। অবশ্য সব সময় তাজা ভাজি খাওয়া হয়না, আগে তৈরি করে রেখে ফ্রিজে রেখে দিতে হয় সময় বাঁচানোর জন্য, পরে নামিয়ে গরম করে খেতে হয়। বাঁধাকপি ভাজির সাথে আলু দিতেও পারেন আবার নাও দিতে পারেন, দুভাবেই ভাল লাগবে। দুপুরের খাবারে বাঁধাকপি ভাজি থাকলে একটু ডাল (মসুর) করার চেষ্টা করবেন। আমি নিশ্চিত বাঁধাকপি ভাজি আর ডালের একত্রে মজাটা গরম ভাতের সাথে আপনি উপভোগ করবেন। ছোটবেলায় আমার ছেলেমেয়েরা বাঁধাকপি ভাজি আর ডাল হলে আর কোন তরকারি পাতে তুলতে চাইত না। ছোট মেয়েটাতো আরো ভক্ত এই বাঁধাকপির, এই মৌসুমে সে বাঁধাকপির সালাদ করবেই।
এবার দেখুন খুব সহজ এই বাঁধাকপি ভাজি রেসিপিটি।
উপকরণঃ
- বাঁধাকপি – আধা কেজি
- আলু – ২ টা (মাঝারি)
- আদা বাটা – আধা চা চামচ
- জিরা বাটা – আধা টেবিল চামচ
- গোটা জিরা – ৩ ভাগের ১ (১/৩) চা চামচ
- ধনে গুঁড়া – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া – আধা চা চামচ (হলুদ না দিলেও চলবে)
- পেয়াঁজ কুচি – ২ টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ – ৩ টা
- তেল – ২ টেবিল চামচ
- লবন – পরিমানমতো
- চিনি – ১ চিমটি (ডায়াবেটিস রোগির জন্য রান্না হলে চিনি দেবেন না)
- ধনেপাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ
বাঁধাকপি ধুয়ে কুচি করে কেটে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে প্রথমে গোটা জিরার ফোঁড়ন দিন। জিরা একটু ভাজা হলে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ দিয়ে নাড়ুন। পেঁয়াজ হালকা বাদামী হয়ে এলে বাঁধাকপি দিয়ে নিন, সাথে লবন সহ সব মসলা দিয়ে ভাল করে নেড়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে রাখুন ১০/১৫ মিনিট। ঢাকনা দিয়ে ভাপটাকেও রান্নায় কাজে লাগাতে হবে, এতে তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে। ঢাকনা তুলে আরো কয়েক বার নেড়ে দিবেন। এ সময় চুলার আঁচ কমিয়ে রাখবেন। পানি শুকিয়ে গেলে এবং বাঁধাকপি নরম হলে ১ চিমটি চিনি (ডায়াবেটিস রোগির জন্য রান্না করলে চিনি দেবেন না), ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন । ব্যস, পরিবেশনের জন্য তৈরি হয়ে গেল বাঁধাকপি ভাজি।
রেসিপি নোটঃ
১. ঢাকনা দিয়ে রান্না করবেন, এতে সময় কম লাগবে আর সিদ্ধ হবে ভালভাবে।
২. ডায়াবেটিস রোগির জন্য রান্না হলে চিনি দেবেন না। বাঁধাকপি ভাজি ডায়াবেটিস রোগির জন্য সকালে রুটির সাথে একটা মজার সবজি হতে পারে।
ভূলু, চট্টগ্রাম, ০৪/১০/২০০৯
happy wheels