যদিও শীতের সবজি, তবুও এখন প্রায় সারা বছরই লালশাক পাওয়া যায়। তবে শীতেই আমার কাছে বেশি ভাল লাগে। আহা, গ্রামে শীতের ভোরে শিশির ভেজা লালশাকের সেকি রূপ, যে দেখেনি বিশ্বাস করবে না। গ্রামের মাঠ থেকে, সার-রাসায়নিক বিহীন কচি লালশাকের তরকারির স্বাদ এখনো মনে হয় জ্বীবে লেগে আছে। সেদিন এখন আর নেই। বাজার থেকেই কিনে খেতে হয় লালশাক, আর সার-রাসায়নিকে মাখামাখি এই শহুরে শাকেই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আজ আপনাদের জন্য লালশাক ভাজি রেসিপিটি দিচ্ছি। খুব সহজ একটা রেসিপি। ছবিটা দেখতে একটু ঝাপসা, তবে আপনি রান্না করলেতো আর ছবি তুলতে হবেনা, দেখবেন সেকি রঙ আর রূপ।
উপকরণঃ
- লাল শাক – ১ আটি
- কাঁচা মরিচ – ২/৩টা
- পেঁয়াজ কুচি – ১ টেবিল চামচ
- রসুন কুচি – আধা চা চামচ
- তেল – দেড় টেবিল চামচ
- লবন – স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালীঃ
লাল শাকের গোড়া ফেলে দিয়ে ধুয়ে ঝাঝরিতে আধা ঘন্টা রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপর শাক গুলো কুচি কুচি (মিহি কুচি না) করে কেটে নিতে হবে। কাঁচা মরিচ গুলো ফালি করে নিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে লালচে বাদামী করে ভাজতে হবে।
এবার শাকগুলো দিয়ে দিতে হবে। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলে শাকগুলো নুয়ে যাবে। এবার ঢাকনা উঠিয়ে কাচামরিচ আর লবন দিয়ে দিতে হবে। শাক থেকে যে পানি বের হবে সেই পানি দিয়েই শাক সিদ্ধ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় শাকগুলো হালকা করে নেড়ে নেড়ে রান্না করুন, শাকের গায়ের পানি শুকিয়ে যাবে। পানি শুকিয়ে গেলেই বুঝতে হবে লাল শাক ভাজি হয়ে গেছে। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন লালশাক ভাজি।
ভূলু, চট্টগ্রাম, ২৪.১০.২০১৪
happy wheels