উপকরণঃ
- আলু – আধা কেজি
- পেঁয়াজ বেরেস্তা – ২ টেবিল চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়া – ১/৩ চা চামচ
- ধনেপাতা কুচি – ১ চা চামচ
- কাঁচামরিচ কুচি (মিহি করে) – ১ চা চামচ
- লবণ পরিমাণমতো
- ডিম – ১ টা
- টোস্ট বিস্কুট গুঁড়া করা – আধা কাপ
- বিট লবণ – ১/৩ চা চামচ
- তেল (ভাজার জন্য)
প্রস্তুত প্রণালীঃ
চপ বানানোর পূর্বপ্রস্তুতি –
বেরেস্তা তৈরীঃ প্রথমে পেয়াজের ভেরাস্তা করে নিন। চুলায় পাতিল চাপিয়ে খানিকটা গরম হলে পরিমাণমতো তেল দিন। তেল গরম হলে পেয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। চুলার আঁচ কমিয়ে পেয়াজ ভেজে বাদামী করে তুলে রাখুন।
কিমা তেরীর প্রক্রিয়াঃ মাংসের কিমা ২৫০। প্রথমে কড়াইতে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি ও লবণ দিয়ে নাড়ুন । এবার আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, দারুচিনি ২ টুকরা, লবঙ্গ ও এলাচ ২টা এবং মাংসের কিমা দিয়ে নাড়তে থাকুন । সামান্য একটু পানি দিন। পানি উঠে শুকিয়ে তেলের ঊপর ঊঠলে নামিয়ে রাখুন। ডিমের ওমলেটের কিমা দিয়েও করতে পারেন।
এবার আলু চপ তৈরী করুন –
আলু ধুয়ে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ আলুর পানি ঝরিয়ে নিন। এবার সাথে সাথেই এই সিদ্ধ করা আলুগুলো চুলায় খালি গরম পাতিলে দিয়ে আলুর গায়ে লেগে থাকা পানি শুকিয়ে নিন। খোসা ছাড়িয়ে আলুগুলো চটকে নিন।
এখন পেঁয়াজ বেরেস্তা, গোলমরিচ গুঁড়া, বিটলবণ, ১ চা চামচ টোস্টের গুঁড়া, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, লবণ একসাথে ভাল করে মেশান। এবার এই মিশ্রণটি আলুর সাথে ভাল করে চটকে মেখে নিন। ভাল করে মেশানোর জন্য মলতে পারেন বেশি করে।
তারপর মাখানো আলু ১০ ভাগ করে মাংসের এর ভেতরে আগেই করে রাখা মাংসের কিমার পুর দিয়ে আলুর চপ ইচ্ছামত বিভিন্ন আকারের [যেমন- ডিম্বাকার, গোলাকার] করে তেরী করে নিন। দেখবেন কিমার পুর এর উপর যেন আলু দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। এখন কাচা চপ ফেটানো ডিমের মধ্যে চুবিয়ে তা টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিন, তাতে ডিমে চুবানো চপের গা শুকিয়ে যাবে। এবার ডুবো তেলে ভাঁজুন।
এবার টমেটো সস কিংবা চিলি সস সাথে শশা কেটে সাজিয়ে পরিবেশণ করুন। ছবিতে যে টমেটো সস দেখতে পাচ্ছে তা আমার রান্না ঘরেই করা, টমেটোর সিজনে করে রাখি বছরের অনেকখানি চলে যায়। বাজারের সসে নাকি টমেটোই থাকে না।
টিপসঃ
বেরেস্তা এবং কিমা আপনি আলুগুলো সিদ্ধ করার পর করতে পারেন। অথবা কিমা সবার আগে করে রাখতে পারেন। আমি কখনো বিশেষ করে ঈদেরদিন করতে গেলে আগের রাতেই ন্যনপক্ষে কিমা করে রাখি।
ভূলু, চট্টগ্রাম, ০২/১০/০৯
আমার এই রেসিপিটি বাংলাদেশ প্রতিদিনে কপি করা হয়েছে কোন এক ইসরাত জাহানের নামে। ব্যাপারটাকে কি চৌর্যবৃত্তি বলব? রেসিপিটি সামহ্যোয়ারইন ব্লগে প্রথম প্রকাশ করা হয়েছিল, তাই ওখানেই আমি এর প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং পত্রিকার সংশ্লিষ্ট পাতায় প্রতিবাদ করে ইমেইল করেছি।
পাঠকরা কি ভাবছেন দেখুন – http://www.somewhereinblog.net/blog/recipeblog/29214346