মূলাতে অনেকেই হয়ত নাট সিটকান। তবে এর পুষ্টিগুণের কথা জানলে মূলার প্রতি আপনার আগ্রহ হয়ত খানিকটা বেড়েই যাবে। মূলা সবজিটি সম্ভবত এশিয়াতে বেশি জনপ্রিয়। এশিয়াতে অনেকেই মূলা ভেজে খাওয়া থেকে শুরু করে সালাদ এবং নানাভাবে রান্না করে খায়। মূলাশাক আমাদের দেশেও জনপ্রিয়। সালাদে, মাছ কিংবা মাংস রান্নাতেও মূলা প্রিয় সবজি। আমার রান্নাঘরেও মাছ এবং মাংসের সাথে মূলা সবজি হিসেবে নানাভাবেই থাকে। বিশেষ করে মাংসে চর্বি বেশি হলে মূলা দিয়ে রান্না করি। আমার শ্বশুরসহ বাড়ির অন্যদেরও প্রিয় ছিল এই রান্নাটা। বলা হয়, মূলা নাকি মাংসে চর্বি কাটে। এখনো আমার ছেলেমেয়েদের কাছে ঝোল করে রান্না করা মূলা দিয়ে গরুর সিনার হাড় খুবই প্রিয় একটি রান্না। রেসিপিটি অনেক আগেই করে রেখেছিলাম, ব্লগে প্রকাশ করা হয়নি। এবার দেখুন কি করে রান্নাটি করতে হবে –
উপকরণঃ
- গরুর সিনার হাড়ের মাংস – ১ কেজি
- মূলা – ৫০০ গ্রাম (গোল গোল ১ ইঞ্চি টুকরা করে কাটা )
- রসুন – দেড় টেবিল চামচ
- আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
- জিরা গুঁড়া – ১ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া – ১ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া – ১ চা চামচ
- গোলমরিচের গুঁড়া – সামান্য (দেড় চা চামচের কম )
- গরম মসলা বাটা – ১/২ চা চামচ
- তেজপাতা – ২ টা
- পেঁয়াজ বেরেস্তা – ২ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ বাটা – ১ কাপ
- জয়ত্রী ও জায়ফল বাটা – সামান্য (দেড় চা চামচ থেকে কম )
- পাঁচফোঁড়ন গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
- লবণ – পরিমাণমতো
- তেল – ১ কাপ
- টালা জিরার গুঁড়া – ১/২ চা চামচের কম
- ধনেপাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
- চিনি – ১ চিমটি
প্রস্তুত প্রণালীঃ
কড়াইতে তেল গরম করে হাড়সহ গরুর মাংস ঢেলে দিয়ে নাড়ুন। মাংসে তেল মিশে গেলে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে আরো ১০/১৫ মিনিট ধরে নেড়ে-নেড়ে কষাতে থাকুন। এবার জ্বাল কমিয়ে দিয়ে সব মসলা এবং লবণ দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন, ভালোভাবে কষানো হলে হাঁড় সিদ্ধ হওয়ার জন্য এবার পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে দিন। রান্না হতে থাক, মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে দেখুন এবং নেড়ে দিন। হাঁড় সিদ্ধ হয়ে আসলে মূলার টুকরাগুলো দিয়ে ঢেকে মুদু আঁচে রাখুন (ঝোল শুকিয়ে আসলে আরেটু পানি দিতে পারেন)। মাংস ও মূলা সিদ্ধ হয়ে আসলে ১ চিমটি চিনি দিন। ঝোল মাখা মাখা হয়ে আসলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে রাখুন। বেরেস্তা ও টালা জিরার গুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে মাংস গরম গরম পরিবেশন করুন। গরম ভাতের সাথেই এই মাংস রান্নাটা বেশি ভাল লাগবে।
ভূলু, চট্টগ্রাম, ১৬/১২/২০০৮
happy wheels